লকডাউন নিয়ে গত দুইদিন সাধারণ মানুষ দ্বিধান্বিত হলেও শেষ পর্যন্ত সরকারি প্রজ্ঞাপনে সোমবার থেকে লকডাউনের কড়াকড়ি আরোপ করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একই সাথে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসে।

সোমবার থেকে লকডাউনে রিক্সা ও জরুরী কাজের ব্যবহৃত পরিবহন ছাড়া সকল পরিবহন বন্ধ, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-বীমা খোলা থাকার ঘোষণা আসলেও খাদ্যপন্য ও নিত্যপন্য, ঔষধের দোকান ছাড়া অন্য সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলে বাস্তবে এর প্রতিফলন কিছুই পড়েনি। অন্য দিনের মতো স্বাভাবিকভাবে বিয়ানীবাজারে সব ধরনের যানবাহন চলছে। মার্কেটের বাইরে অধিকাংশ কাপড়, কসমেট্রিক্সসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।

সরকারের প্রজ্ঞাপন মাঠ পর্যায়ে সফল করতে প্রচারণা চালালেও দায়িত্বশীলদের স্বশরীরে মাঠে দেখা যায়নি। এই সুযোগে অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন অবাধে চলছে। একই সাথে মাক্স ছাড়া চলাফেরা করছেন পৌরশহরে অধিকাংশ মানুষ। এমনকি যেসম দোকানপাঠ খোলা রয়েছে সেসব দোকানপাঠের অধিকাংশ ব্যবসায়ী-কর্মচারিকে মুখে মাক্স ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।

এ নিয়ে সোহেল আহমদ রাশেদ বলেন, মনে হয়েছিলো আগের লকডাউনের বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার ঘোষিত বর্তমান লকডাউনটি কিছুটা হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব পড়বে কিংবা মানুষের অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসন মাঠে থাকবেন। বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। এভাবে চললে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে উঠবে। শিক্ষক আতিকুল ইসলাম বলেন. পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত আমাদের চেয়ে সব কিছুতে অনেকটা এগিয়ে। তাদের স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও এগিয়ে আছে। এ অবস্থায় করোনায় ভারতীয়দের অবস্থা আমরা দেখার পরও সতর্ক হচ্ছি না।

সরকারি প্রজ্ঞাপন বিষয়ে প্রচারণা চালানো হয়েছে জানিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে স্বাভাবিক নিশ্চিত করতে চাই।

করোনার উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে সীমান্তবর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলা