সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (পিপিএম) বলেন, ‘আগে গ্রাম গঞ্জে অনেক খেলাধুলা হতো এগুলো আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। আমরা আগের জায়গায় ফিরে যেতে চাই। যেখানে আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রয়েছে। সেই জায়গাগুলো আমরা ধরে রাখতে চাই। আমরা সংস্কৃতির আগ্রাসনে আছি, কিন্তু দেশীয় সংস্কৃতির বাহিরে। আজকে আমরা বিভিন্ন বিদেশি সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হচ্ছি। অথচ বাঙালির নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রয়েছে যা অনেক বেশি সমৃদ্ধ। আর আমাদের এই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিভিন্ন খেলাধুলা ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ধরে রাখা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘খেলাধুলার আয়োজন একটি এলাকার ভ্রাতত্বের বন্ধন তৈরি করে। মানুষের মধ্যে হানাহানি, বিভেদ, বিরোধ কমিয়ে দেয়। মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ায়। মানুষের মধ্যে ঐক্য বাড়ায়। সমাজকে যারা সুন্দর পথে পরিচালনা করেন তারা সাধারণত এরকম সুন্দর আয়োজন করে থাকেন। আজকে যারা এতো সুন্দর আয়োজন করেছেন সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জাফলংয়ের সোহরাব আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন আন্তঃব্যাচ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও সোহরাব আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ও আজির উদ্দিন সরকার এবং জিয়াউল খান জিয়ারতের যৌথ পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান লেবু।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব, জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইচার্জ (ওসি) রতন শেখ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল আলম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দছ আলী, তামাবিল পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার হোসেন ছেদু, ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম খান, জাকির হোসেন খান, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন সরকার, পশ্চিম জাফলং যুবলীগের আহ্বায়ক মামুন পারভেজ, পূর্ব জাফলং ইউপি সদস্য আবুল হাসনাত, আতাউর রহমান আতাই, আব্দুল কাদির, সাংবাদিক ইমরান হোসেন সুমন, মিতালী যুব সংঘের সভাপতি জাহিদ খান প্রমুখ।

খেলায় ২০১৮ ব্যাচ বনাম ২০০৩, ৪ ও ৫ ব্যাচ ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করে। নির্ধারিত সময় শেষে ২০০৩, ৪ ও ৫ ব্যাচকে ০-২ গোলে হারিয়ে ২০১৮ ব্যাচ চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা বিজয়ীদের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন।