বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪ ডেস্ক। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।

মঞ্চে উঠে শিল্পী কাছ থেকে মাইক্রোফোন হাতে নিতে গিয়ে তিনি পারেননি। দায়িত্বশীল একজন অন্য মাইক্রোফোন এগিয়ে দেন। কিন্তু বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজক ব্যক্তিত্ব আবুল খায়ের লিটু’র অযথা দাম্ভিকতায় সিলেটের সুধীমহল বিরক্ত হলেন। তিনি যা বলেছেন তা না বললেও চলতো বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত কেউ কেউ।

তখন রাত ১১টা। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় অনুষ্ঠানস্থলে উপচে পড়া ভীড়। শিল্পী কৃষ্ণকলি সাঁওতালি কৃষ্ণলীলা পরিবেশনা সবে শেষ করেছেন। বিমুগ্ধ হয়ে দর্শকরা পাগল হলেন। গুটিকয়েক দর্শকের চিৎকার ‘অইত’ ‘অইত’! মানে গান আরও হউক। কিন্তু এই ‘অইত’ ‘অইত’য় ক্ষেপে গেলেন আয়োজক বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু।

মঞ্চে উঠে মাইক হাতে নিয়ে বলে ফেললেন অনেক কথা। ‘আপনারা যদি এসব করেন, আমরা আর সিলেটে আসবনা। সিলেটের ব্যপারে আমরা ইন্টারেস্টেড না।’ তিনি অভিযোগের সুরে বলতে থাকলেন ‘সিলেটের কেউ কিছু বলছেন না।’ তিনি বলতে থাকেন, ‘সিলেটের ৯৫ ভাগ লোক ভালো, ৫ ভাগ লোক এমন খারাপ আচরণ করছেন।  এদেরকে তারা থামাতে পারেন না?’

একথা শুনে মাঠ ভর্তি কয়েক হাজার দর্শক হাততালি দিয়ে উঠলেও বেঙ্গল চেয়ারম্যান বলতে থাকেন ‘হাততালি দিলে হবেনা, ঐ ৫ ভাগকে বের করে দিন, না হয় আমি অনুষ্ঠান ক্যান্সেল করে দিবো। আমি কাউকে ভয় পাইনা, কেয়ারও করিনা।’

এ পর্যায়ে ‘অইত’ ওয়ালারা চুপ করলে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে আবার গাইতে শুরু করেন কৃষ্ণকলি।

ঘটনাটি শুক্রবার রাতের। মাছিমপুরস্থ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে চলমান বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবের মূলমঞ্চ হাছনরাজা মঞ্চে ঘটে এ রকম ঘটনা।

তবে বেঙ্গল চেয়ারম্যানের হঠাৎ এমন ক্ষ্যপাটে বক্তব্যে চরম বিরক্ত হয়েছেন সুধী মহল। নিজেদের মধ্যে তাদের তুমুল আলোচনা, দর্শকরাতো এমন দাবি হামেশাই করেন। প্রিয় শিল্পীর কাছ থেকে বেশি বেশি শোনার এমন আব্দারে হঠাৎ বেঙ্গল চেয়ারম্যান ক্ষেপে যাওয়ার কারণ কি? দর্শকরাতো একটু পর এমনিতেই শান্ত হয়ে যেতো।

কেউ কেউ একে ‘অযথা মাতব্বরি’ বলেও বিরক্তি প্রকাশ করলেন। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুললেন, ‘ইন্টারেস্টেড না’ যখন, তখন এখানে আসতে কে ইবা তাদের মাথার দিব্যি দিয়েছিলেন? আর ‘আমি কাউকে ভয় পাইনা, কেয়ার করিনা’ এসব তিনি কার উদ্দেশ্যে বললেন। নাকি এখানেও রাজনীতি কুট চাল চালানো হলো?

এ ধরনের আসরে দর্শকরাতো তাদের চাওয়া পাওয়ার দাবি এভাবেই প্রকাশ করেন।

একটু ভালো করে বললেই যারা শান্ত হয়ে যায়, তাদের প্রতি গোস্বা করে এমন কঠিন কঠোর কথার যৌক্তিকতা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন তুলেছেন অনেক দর্শক।