গত বছরের মার্চ মাস ডা. জোবায়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে বিয়ানীবাজারের চারখাইবাসী ফুসে উঠে। উত্তেজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন স্থানীয়দের দাবি মূখে ডাক্তার জোবায়েরকে চারখাই ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

বছর না যেতেই চারখাইয়ে চেম্বার খুলেছেন বিতর্কিত ডাক্তার জোবায়ের। গত বৃহস্পতিবার চারখাইবাজারে সাইদুর রহমান মার্কেটে জোবায়ের মেডিকেয়ার এণ্ড প্যাথলজি সেন্টার নামে সাইন বোর্ড বসান। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে দেভে ডা. জোবায়ের ইউপি চেয়ারম্যান মাহমদ আলীর সাথে দেখা করে চারখাইয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ চান। তিনি স্থানীয় বেশ কিছু মানুষের সাথেও বৈঠক করে তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছেন।

ডা. জোবায়ের বিয়ানীবাজার নিউজ২৪কে বলেন, আমার দুইটা ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে স্থানীয় মানুষের সাথে দুরত্ব তৈরী হয়। এ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করতে কিছু স্বার্থনেস্বী মানুষ জড়িত ছিলেন। বর্তমানে পরিস্থিতি ভাল এবং আমি আমার বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করে চারখাইয়ে এসেছি। আজ শনিবার থেকে চেম্বারের বসবো। তিনি বলেন, শুক্রবার স্থানীয় চেয়ারম্যান ও যুবকদের সাথে আমার বৈঠক হয়েছে। সবাই সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে একমত হয়েছেন। এখানে ভূয়া চিকিৎসকদের দৈরাত্ব রয়েছে জানিয়ে ডা. জোবায়ের বলেন, সুচিকিৎসার জন্য চারখাইয়ে সার্বক্ষণিক কোন ডাক্তার থাকেন না। যারা চেম্বারে বসেন তারা চলে যান। যার কারণে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া কোন মানুষকে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমার প্রতিষ্ঠানই উত্তম।

এরমধ্যে ফেসবুকে নোমান আহমদ, স্বপ্নের চারখাই, শহিদসহ বেশ কয়েকজন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ডা. জোবায়েরকে চরিত্রহীন বলে আখ্যায়িত করা শুরু করেছেন। ‘চরিত্রহীন ডাক্তারের ছাড়া চারখাইবাসী অনেক শান্তিতে আছে’ ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল’ ‘চারখাইবাসী অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে এই ফল’- এ রকম বেশ কয়েকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবার ফুসে উঠছে চারখাই।

ছাত্রলীগ নেতা নোমান আহমদ, বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ডা. জোবায়েরকে আবার চেম্বার খোলার অনুমতি দেয়ার বিষয়টিও অজানা। তিনি দাবি করলে সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। নোমান বলেন, গলাকাটা দাম রেখে এবং অপচিকিৎসা করে ডা. জোবায়ের সকল চিকিৎসকদের অসম্মান করছেন। আর চারখাইবাসীকে নিয়ে কুটুক্তি করার বিষয়ে সবার জানা। এরপরও তিনি এসেছেন- পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

চারখাই ইউপি চেয়ারম্যান মাহমদ আলী বলেন, আমার অনুমতি দেয়ার কোন এখতিয়ার নেই। সে (জোবায়ের) আমার কাছে এসেছিলো। এছাড়া স্থানীয়দের নিয়ে বসে চারখাইয়ে চেম্বার খোলার অনুমতি চেয়েছেন। তারা অতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তাদের সাথেও মিটমাট করে দিয়েছি। এর বেশি কিছু জানি না।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আজ এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখতেছি।