জকিগঞ্জ প্রতিনিধি। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭।

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুরের রসুলপুর গ্রামে কলেজছাত্রীকে কোপানোর ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঝুমা আক্তার সুমা (১৮) নামের ওই তরুণীকে কুপিয়ে আহত করে একইগ্রামের বাহার (২২) নামের এক বখাটে।

রবিবার সকালে ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। এই ঘটনার পর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাহারের এক ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান জানান, কলেজছাত্রী আহতের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসা করাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। ফলে মামলা করতে বিলম্বিত হচ্ছে। তবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাহারের ভাইকে আটক করেছে। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

রসুলপুর গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের মেয়ে ঝুমা জকিগঞ্জের ইছামতি ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, বাহার একইগ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল কাদির বলেন, ‘রবিবার সকালে রসুলপুর গ্রামে একটি বাড়িতে আমরা সালিশি বৈঠকে ছিলাম। এসময় সুমার মা দৌড়ে এসে তার মেয়েকে বাঁচাতে বলেন। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখি। এসময় সে জানায়, বাহার তাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে গেছে।’

আবদুল কাদির বলেন, ‘রক্তাক্ত অবস্থায় সুমাকে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই আমরা। পরে ওসমানী হাসপাতালে এনে তাকে ভর্তি করি। বাহার গত কিছুদিন ধরে সুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে বাহারের প্রস্তাবে সুমা রাজি হচ্ছিল না।’ ঝুমার হাতে ৩টি এবং পেটে একটি ছুরিকাঘাত রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি।